
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের কার্জন হল কেন্দ্রে সংবাদ সংগ্রহের সময় নিহত সাংবাদিক তরিকুল শিবলীর পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন ছাত্রদলের নেতা আবিদুল ইসলাম আবিদ। চ্যানেল এস-এর সিনিয়র রিপোর্টার শিবলী ৯ সেপ্টেম্বর লাইভ কাভারেজের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত্যুর ঘোষণা করা হয়।
শিবলীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আবিদ তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বিশেষভাবে শিবলীর দুই ছোট সন্তানকে কোলে নিয়ে আদর করেন এবং তাদের মানসিক সান্ত্বনা দেন। এই সময় তিনি শিবলীর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং দোয়া-মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।
ঘটনা এবং প্রেক্ষাপট
তরিকুল শিবলী ৪০ বছর বয়সে প্রয়াত হন। তিনি চ্যানেল এস টেলিভিশনে সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর মৃত্যু সংবাদ জগতে এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে শোকের ছায়া ফেলেছে। আবিদ এই ঘটনায় শুধু শোক প্রকাশ করেননি, পাশাপাশি শিবলীর অবদানকে সম্মান জানিয়েছেন।
ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা সমাজে সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা ও মানসিক চাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছে।
আবিদের সাক্ষাতের মুহূর্ত
শিবলীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় আবিদ বলেন, “তরিকুল শিবলী শুধু একজন সাংবাদিকই নন, তিনি আমাদের প্রিয় সহকর্মী ও বন্ধু ছিলেন। তার রেখে যাওয়া ছোট সন্তানদের পাশে থাকাই এখন আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।” তিনি পরিবারের প্রতি দয়া ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেন এবং তাদের মানসিক শক্তি জোগাতে দোয়া করেন।
শিবলীর দুই সন্তানকে কোলে নিয়ে আবিদ তাদের সঙ্গে একান্ত সময় কাটান এবং তাদের প্রতি স্নেহ ও আদরের ছোঁয়া দেন। পরিবারও আবিদের এই সহমর্মিতা ও সমবেদনা গ্রহণ করে ধন্যবাদ জানান।
সংবাদমাধ্যম ও সমাজে প্রতিক্রিয়া
শিবলীর মৃত্যুর পর চ্যানেল এস সহ অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। সাংবাদিক সংগঠন এবং ছাত্রদল সমিতির নেতৃবৃন্দও শিবলীর অবদান স্মরণ করেছেন। তারা সাংবাদিকতার গুরুত্ব এবং নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে ধরেছেন।
শিবলীর মৃত্যুর পর পরিবার ও সহকর্মীদের মধ্যে শোক ছড়িয়েছে। আবিদের এই সাক্ষাৎ এবং সহমর্মিতা পরিবারকে কিছুটা মানসিক শান্তি প্রদান করেছে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষও এই ঘটনা নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন।
শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক সমাজের প্রভাব
ডাকসু নির্বাচনের সময় সাংবাদিকরা যথেষ্ট চাপের মধ্যে কাজ করেন। শিবলীর মৃত্যু শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিক সমাজে সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি দেখিয়েছে যে, সংবাদ সংগ্রহের সময়ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
শিবলীর সহকর্মীরা মনে করেন, সাংবাদিকতার পেশায় যারা নিজেকে উৎসর্গ করেন, তাদের মানসিক ও শারীরিক সুরক্ষা অপরিহার্য। পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন এবং শিশুদের সান্ত্বনা দেওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক দায়িত্ব।
পরিশেষে
তরিকুল শিবলীর মৃত্যু সংবাদ জগতে একটি শোকের অধ্যায় হিসেবে ইতিহাসে থাকবে। আবিদের সাক্ষাত এবং শিবলীর পরিবার ও সন্তানদের প্রতি সহমর্মিতা সমাজে মানবিকতা ও সংহতির উদাহরণ স্থাপন করেছে। শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণ এই ঘটনাকে স্মরণ রাখবেন এবং ক্ষুদ্রতম সঙ্কটে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর গুরুত্ব উপলব্ধি করবেন।
শিবলীর রেখে যাওয়া সন্তানরা যেন ভবিষ্যতে শক্তি ও সহমর্মিতার সঙ্গে বড় হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য সমাজের সকলের সহায়তা প্রয়োজন।
এম আর এম – ১৪২৯,Signalbd.com