বাংলাদেশ

সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে বাসায় নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ: গ্রেপ্তার ২

Advertisement

এক নারীকে টাকা দিয়ে সাহায্য করার কথা বলে বাসায় নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ফাহিম হাসান নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। বৃহস্পতিবার বিকেলে র‍্যাব-১০ একটি দল নগরীর মাতুয়াইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফাহিমকে গ্রেপ্তার করে।

ঘটনার বিবরণ

৭ মার্চ রাজধানীর কদমতলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন ওই নারী। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ জন্য ৫ মার্চ তিনি প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে গ্রামের বাড়িতে যান।

এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হওয়া প্রিন্স নামের এক টিকটক আইডি থেকে তাঁকে বারবার খুদে বার্তা পাঠানো হচ্ছিল। ওই আইডি থেকে বলা হয়, তাঁর মা সুদে টাকা ধার দেন এবং তিনি সাহায্য করতে পারবেন। এরপর বেলা একটার দিকে প্রিন্স নামের যুবক এসে তাঁকে তাঁর বাসায় নিয়ে যান।

ধর্ষণের ঘটনা

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বাসায় যাওয়ার পর তিনি কোনো নারীকে দেখতে না পেয়ে বেরিয়ে আসতে চান। এ সময় বাইরে থেকে দুজন এসে দরজা বন্ধ করে একে একে তাঁকে ধর্ষণ করেন। সেই দৃশ্য মুঠোফোনে ভিডিও করা হয় এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাঁর ফোনটি রেখে দেন।

তিনি বাসায় ফিরে স্বামীকে সব জানান। এরপর স্বামী গ্রাম থেকে ফিরলে তাঁকে নিয়ে ৭ মার্চ মামলা করেন। ঘটনার সময় তিনি যুবকদের নাম ফাহিম হাসান, প্রিন্স ও ইয়াসিন আরাফাত বলে জানতে পারেন।

গ্রেপ্তার ও তদন্ত

র‍্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মামলার বিষয়টি জানতে পেরে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান। র‍্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফাহিমকে গ্রেপ্তার করে। ফাহিমের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানার মেদিনীমণ্ডলে। গ্রেপ্তার ফাহিমকে কদমতলী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. সাফায়েত হোসেন বলেন, মামলা করার পর ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেলের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তবে এখনো সেই পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পায়নি পুলিশ। এর আগে ৮ মার্চ আরাফাত নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ ধরনের ঘটনা সমাজে একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। ধর্ষণের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। আশা করা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুততার সঙ্গে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে।

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button