বাংলাদেশ

মেট্রোরেলের ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কাজে সাশ্রয় ১৮৫ কোটি টাকা

Advertisement

মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেলের ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল সিস্টেমের কাজের জন্য দরপত্র মূল্যায়নের পর সরকারের নির্দেশে দরকষাকষি করা হয়। এর ফলে ১৮৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

চুক্তি ও দরকষাকষির বিস্তারিত

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জুন ২০১৮ সালের দরপত্র দাখিলকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের ব্যয়কে নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, সরকারের নির্দেশে দরকষাকষির মাধ্যমে প্রকৃত ব্যয় অনেকটা কমানো সম্ভব হয়েছে। শুরুতে প্রস্তাবিত খরচ ছিল প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা। তবে দরকষাকষির মাধ্যমে চূড়ান্ত ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৪৬৫ কোটি টাকায়, যা থেকে নিট সাশ্রয় হয় ১৮৫ কোটি টাকা।

চুক্তিতে আরও উল্লেখ রয়েছে যে, এক বছরের ডিফেক্ট নোটিফিকেশন পিরিয়ড বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। একই ঠিকাদার পূর্বে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন করায় সিস্টেম ইন্টেগ্রেশনে সুবিধা হয়েছে।

প্রকল্পের প্রাথমিক তথ্য

সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (আরডিপিপি) দ্বিতীয় সংশোধনী অনুযায়ী, ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল খাতে ২৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। প্রকৃত ব্যয় দরপত্র মূল্যায়নের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। এতে মূল্যস্ফীতি, মুদ্রা বিনিময় হার, কাঁচামাল সরবরাহ এবং পরিবহন খরচ প্রভৃতির প্রভাব থাকে।

মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেলের ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কাজ পূর্বে করা হয়েছিল উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত। একই ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজের ধারাবাহিকতা ও মান বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে।

প্রভাব ও সরকারের ব্যয় নীতি

সরকারের ব্যয় অপ্টিমাইজেশন নীতি এই চুক্তিতে প্রতিফলিত হয়েছে। দরকষাকষির মাধ্যমে সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। একই সঙ্গে, প্রকল্পে অর্থায়নকারী সংস্থা জাইকার নির্দেশনায় কাজ সম্পন্ন হচ্ছে।

স্বচ্ছতা ও কঠোর দরকষাকষি মানেই জনগণের অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার মাঝেও কার্যকরভাবে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে।

বিশ্লেষণ ও বিশেষজ্ঞ মতামত

পরিবহন ও অবকাঠামো বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “দরকষাকষি ও পরিকল্পিত বাজেট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বড় পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় সম্ভব। এটি দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ।”

তারা আরও মনে করেন, একই ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ করার ফলে সিস্টেম ইন্টেগ্রেশন সহজ হয়েছে এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে।

পরিসংখ্যান ও তুলনামূলক তথ্য

প্রকল্পের প্রাথমিক অনুমোদিত ব্যয় ২৭৪ কোটি টাকা হলেও, দরপত্র মূল্যায়নের পর প্রাথমিক খরচ বেড়ে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার সমান হয়েছিল। তবে দরকষাকষির মাধ্যমে চূড়ান্ত ব্যয় ৪৬৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। সাশ্রয়কৃত ১৮৫ কোটি টাকা সরকারের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও অপ্টিমাইজেশনের একটি সফল উদাহরণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।

মতিঝিল থেকে কমলাপুর সেকশনের মেট্রোরেল ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কাজের ক্ষেত্রে ১৮৫ কোটি টাকার সাশ্রয় শুধু আর্থিক সাফল্য নয়, এটি সরকারি প্রকল্প ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা ও কার্যকরী পরিকল্পনার প্রতিফলন। এই চুক্তি থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা ভবিষ্যতে বড় অবকাঠামো প্রকল্পে ব্যয় কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

এম আর এম – ২০০৮,Signalbd.com

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button