বাংলাদেশ

৪৩তম বিসিএসের চার এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ

Advertisement

 বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ৪৩তম ব্যাচের চারজন সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) চাকরি থেকে সরাসরি অপসারণ করা হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপন বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিধিমালা, ১৯৮১-এর বিধি ৬(২)-এর আওতায় এই চারজনকে অপসারণ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনের বিস্তারিত

প্রজ্ঞাপনে উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষর করেছেন। অপসারণ হওয়া চার এএসপি হলেন: শের শাহ্, শোভন কুমার বিশ্বাস, মো. রওশন জামিল এবং আশফাক ফেরদৌস।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আদেশ জারি করা হয়েছে। এতে কোনো অতিরিক্ত ব্যাখ্যা বা কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে এটি সরাসরি চাকরি থেকে অপসারণ হিসেবে গণ্য হয়।

বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের শিক্ষানবিশ এএসপিদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ নিয়মিতভাবে হয়। নিয়োগপ্রাপ্ত এএসপির কর্মজীবন নিরীক্ষিত থাকে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নিয়মিত মূল্যায়ন করা হয়।

পুলিশ ক্যাডারের ইতিহাসে, বিভিন্ন কারণে এএসপি অপসারণের ঘটনা ঘটেছে। তবে সরাসরি চাকরি থেকে অপসারণ সাধারণত গুরুতর অনিয়ম, শৃঙ্খলাভঙ্গ বা আইনবিরোধী আচরণের প্রমাণিত ঘটনার কারণে হয়ে থাকে।

প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া

অপসারণের ফলে সংশ্লিষ্ট এএসপিদের পেশাগত ভবিষ্যত প্রভাবিত হবে। পাশাপাশি, পুলিশ বিভাগ ও নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত এএসপিদের মধ্যেও সতর্কবার্তা হিসাবে কাজ করবে।

বিচার ও প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ পুলিশের নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়ক। তবে একই সঙ্গে চাকরিচ্যুত চারজনের পক্ষ থেকে আপিল বা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের সম্ভাবনাও রয়েছে।

প্রশাসনিক প্রক্রিয়া ও আইনগত দিক

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিধিমালা, ১৯৮১-এর বিধি ৬(২) অনুযায়ী, শিক্ষানবিশ কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে সরাসরি অপসারণের ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারা মূলত শৃঙ্খলাভঙ্গ, নৈতিকতা লঙ্ঘন বা নিয়মিত মূল্যায়নে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে এই আদেশ জারি করা হয়েছে। এর অর্থ, পুলিশ প্রশাসন ও মন্ত্রণালয় উভয়ই এই সিদ্ধান্তের পক্ষে সম্মত।

বিশ্লেষণ ও বিশেষজ্ঞ মতামত

পুলিশি প্রশাসনে এ ধরনের পদক্ষেপ সাধারণত নীতিমালা মেনে করা হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এএসপি অপসারণের ঘটনা পুলিশি শৃঙ্খলা ও অনুশাসন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ।

আইনজীবীরা বলছেন, চাকরি থেকে সরাসরি অপসারণের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। তাই চারজন এএসপির পক্ষ থেকে আপিল বা রিভিউ প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। এটি পরবর্তী সময়ে পুলিশ প্রশাসনের নীতি ও কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে।

৪৩তম বিসিএসের চার এএসপির চাকরি থেকে সরাসরি অপসারণ পুলিশের শৃঙ্খলা ও নীতি অনুসরণের অংশ। এটি প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলেও, সংশ্লিষ্ট এএসপির ভবিষ্যত এবং আপিল প্রক্রিয়া পরবর্তী দিনের একটি বড় দিক।

পুলিশ প্রশাসন ও সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব ভবিষ্যতে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত এএসপিদের কর্মজীবনে সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে।

এম আর এম – ১৯১৫,Signalbd.com

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button