বাংলাদেশ

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো হাইকোর্টে ই জুডিশিয়ারি কার্যক্রম শুরু

বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চে প্রথমবারের মতো পেপার-ফ্রি (কাগজমুক্ত) বিচারিক কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী ৫ জানুয়ারি, রোববার থেকে কোম্পানি সংক্রান্ত এই বেঞ্চে সব ধরনের কাগজপত্র জমা দেওয়া এবং প্রক্রিয়াকরণ সম্পূর্ণ অনলাইনে সম্পন্ন হবে।

সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব উদ্ভাবন

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মামলার সংশ্লিষ্ট সকল নথি এবং কাগজপত্র অনলাইনে দাখিল করা যাবে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রধান বিচারপতির দৃষ্টিভঙ্গি

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ ই-জুডিশিয়ারি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিচার বিভাগে স্বচ্ছতা, দক্ষতা, এবং প্রযুক্তিনির্ভরতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি ২০২৫ সালের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বেঞ্চ এবং পর্যায়ক্রমে দেশের জেলা আদালতসমূহেও পেপার-ফ্রি কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন।

রোডম্যাপ ও সংস্কার কার্যক্রম

প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ২১ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগের সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করেন।

  • স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য: বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা।
  • মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা: উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে স্বাধীন কাউন্সিল গঠন।
  • দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা: বিচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে ই-জুডিশিয়ারি আওতায় নিয়ে আসা।

প্রথম কার্যক্রম বিলম্বিত

প্রথম পেপার-ফ্রি কার্যক্রমটি ২ জানুয়ারি শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে প্রয়াত এ এফ হাসান আরিফের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।

ই-জুডিশিয়ারি বাস্তবায়নে অগ্রগতি

ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

  1. বিচারকদের বদলি ও পদায়নে নীতিমালা প্রণয়ন।
  2. অনলাইন মামলার নথি ব্যবস্থাপনা।
  3. উচ্চ আদালত এবং জেলা আদালতগুলোতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button