ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, পারমাণবিক উত্তেজনার আশঙ্কা

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরে মাওলানা মাসুদ আজহারের মাদ্রাসায় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পরিচালিত এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা সামনে এসেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই হামলায় অন্তত একজন শিশু নিহত ও একজন নারী আহত হয়েছেন। হামলার লক্ষ্য ছিল মাসজিদ-ই-সুবহান, যেখানে জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের অবস্থান নিয়ে আগেই আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ছিল।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, “অপারেশন সিন্দুর” নামক এই অভিযানে মোট নয়টি স্থানে আঘাত হানা হয়েছে, যেগুলি মূলত পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাসী পরিকাঠামো হিসেবে চিহ্নিত। ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে, কোনো পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করা হয়নি এবং এই অভিযান ছিল “লক্ষ্যভিত্তিক ও সংযত”।
এই পদক্ষেপের পেছনে কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে পহেলগামে সাম্প্রতিক এক সন্ত্রাসী হামলা, যাতে ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালী নাগরিক নিহত হন। ভারত অভিযুক্ত করেছে যে, এই হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন পাকিস্তানের মাটিতে অবস্থিত জইশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটি থেকেই পরিচালিত হয়েছে।
এই ঘটনার পর করাচির আকাশসীমায় থাকা সকল ফ্লাইটকে জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করানো হয়েছে এবং পাকিস্তান ৪৮ ঘন্টার জন্য তার সম্পূর্ণ আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ হলেও এখনো দু’দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা আসেনি।
পাকিস্তানের সেনা ও কূটনৈতিক মহলে এ হামলার কঠোর প্রতিক্রিয়ার প্রস্তুতি চলছে। ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনির সঙ্গে বদলার ডাক এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।