চাল কিছুটা সস্তা হলেও কমেনি পেঁয়াজ ও মুরগির দাম

রাজধানীর বাজারে অবশেষে মিনিকেট চালের দামে খানিকটা স্বস্তি মিলেছে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে আশার খবর এখানেই শেষ। বাজারে এখনো চড়া রয়েছে পেঁয়াজ, মুরগি ও সবজির দাম, যা ভোক্তাদের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে।
মিনিকেট চালের দাম কমেছে ২ থেকে ৮ টাকা
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মিনিকেট চালের দাম সাম্প্রতিক সময়ে কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। যেমন:
- মঞ্জুর ও সাগর ব্র্যান্ড: ৯০ টাকা থেকে নেমে ৮৫ টাকা
- ডায়মন্ড ব্র্যান্ড: ৮৮ টাকা থেকে নেমে ৮৫ টাকা
- রশিদ ব্র্যান্ড: ৭৮ টাকা থেকে কমে ৭৬ টাকা
- মোজাম্মেল ব্র্যান্ড: ১০০ টাকা থেকে নেমে ৯২ টাকা (সর্বোচ্চ ৮ টাকা কম)
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বোরো মৌসুমের নতুন ধান থেকে চাল আসায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে, ফলে দাম কিছুটা কমেছে।
তৌহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের চাল বিক্রেতা বলেন, “বোরো মৌসুমের চাল বাজারে আসায় মিনিকেটের সরবরাহ বাড়ছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমেই।”
যে চালগুলোর দাম অপরিবর্তিত:
- নাজিরশাইল: কেজি প্রতি ৮০–৯৫ টাকা
- ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯: ৬০ টাকা
- স্বর্ণা: ৫৫ টাকা
পেঁয়াজের বাজার এখনো অস্থির
গত তিন সপ্তাহ ধরেই দেশি পেঁয়াজের দাম বেশি। আজকের বাজারে:
- দেশি পেঁয়াজ: ৫৫–৬০ টাকা/কেজি (পাড়ায় আরও বেশি)
- আমদানি করা পেঁয়াজ: ৪৫–৫০ টাকা/কেজি
- গত এক মাসে দাম বেড়েছে কেজিতে ২০–২৫ টাকা
মুরগি ও ডিমেও বাড়তি চাপ
- ব্রয়লার মুরগি: ১৮০–১৯০ টাকা/কেজি (বৃদ্ধি ১০ টাকা)
- সোনালি মুরগি: ২৬০–৩১০ টাকা/কেজি (বৃদ্ধি ২০–৩০ টাকা)
- ফার্মের ডিম: ১২৫–১৩০ টাকা/ডজন (পূর্বের মতোই বেশি)
মাছ-মাংসের দাম অপরিবর্তিত
- গরুর মাংস: ৭০০–৮০০ টাকা/কেজি
- খাসির মাংস: ১০০০–১১৫০ টাকা/কেজি
- চাষের কই: ৩০০–৩২০ টাকা/কেজি
- রুই: ৩৮০–৪০০ টাকা/কেজি
- পাবদা: ৪০০–৫০০ টাকা/কেজি
সবজির দাম এখনো উঁচুতে
বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ৬০–৮০ টাকা। এর বাইরে:
- শজনে ও কাঁকরোল: ১২০–১৪০ টাকা/কেজি
- আলু: ২০–২৫ টাকা/কেজি
- কাঁচা মরিচ: ৮০–৯০ টাকা/কেজি
মাজেদুল ইসলাম, শেখেরটেক এলাকার একজন ভোক্তা বলেন, “দীর্ঘদিন পরে চালের দাম কিছুটা কমেছে। তবে শীতের পরে সবজির দামে হঠাৎ এই উল্লম্ফন খুবই কষ্টদায়ক। সরকার নজর না দিলে ভোক্তারা কষ্টে থাকবে।”