ভারত-পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ৩৭২৫০ টন চাল আমদানি

বাংলাদেশে খাদ্য মজুদ শক্তিশালী করতে ভারত ও পাকিস্তান থেকে ৩৭ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। এ চাল আমদানি করেছে খাদ্য অধিদফতর। বুধবার (৫ মার্চ) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাকিস্তান থেকে এসেছে ২৬,২৫০ মেট্রিক টন চাল
সরকারি পর্যায়ে (জি-টু-জি) চুক্তির আওতায় পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন আতপ চাল বাংলাদেশে এসেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে এমভি সিবি নামের একটি জাহাজ, যা এই চাল বহন করে এনেছে। সরকার নির্ধারিত শর্ত মেনে চাল সরবরাহ করা হয়েছে বলে খাদ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ভারত থেকে এসেছে ১১,০০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল
একই সময়ে, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের (প্যাকেজ-৫) মাধ্যমে ভারত থেকে ১১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল আমদানি করা হয়েছে। এই চাল বহন করে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে এইচটি ইউনিটি নামের একটি জাহাজ। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এই চাল আমদানি করা হয়েছে।
চাল খালাস প্রক্রিয়া শুরু
খাদ্য অধিদফতর জানিয়েছে, উভয় দেশ থেকে আমদানি করা চালের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষা শেষে আজ থেকেই চাল খালাস প্রক্রিয়া শুরু হবে। এ লক্ষ্যে বন্দরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
খাদ্য মজুদে সরকারের উদ্যোগ
সরকার চাল ও খাদ্যশস্যের মজুদ শক্তিশালী করতে ধারাবাহিকভাবে আমদানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি করছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে চালের উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে ভারত, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশ থেকে পর্যায়ক্রমে চাল আমদানির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাজারে প্রভাব পড়বে কি?
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই চাল আমদানির ফলে বাজারে চালের মূল্য স্থিতিশীল থাকবে। আমদানি করা চাল সরকারি গুদামে সংরক্ষণ করে প্রয়োজনে খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) কর্মসূচির মাধ্যমে বিতরণ করা হতে পারে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সরকারের লক্ষ্য হলো বাজারে চালের সরবরাহ নিশ্চিত করা, যাতে সাধারণ মানুষের জন্য চালের মূল্য সহনীয় থাকে।