‘এআই ওভারভিউ’ ফিচার নিয়ে গুগলের বিরুদ্ধে মামলা

এবার সার্চ রেজাল্টে বিতর্কিত ‘এআই ওভারভিউজ’ ফিচারের কারণে গুগলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে মার্কিন এক শিক্ষাবিষয়ক পরিষেবা কোম্পানি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘চেগ’ বলছে, তাদের ইন্টারনেটের কার্যক্রমে গুগলের এই ফিচারটি এতটাই প্রভাব ফেলেছে যে, এর কারণে কোম্পানিটির ট্রাফিক ও রাজস্ব নাটকীয়ভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে।
গত বছর নিজেদের এআই ওভারভিউ ফিচারটি চালু করেছে গুগল। যার লক্ষ্য, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের আরও সুনির্দিষ্ট উত্তর দেওয়া, যাতে তারা যে তথ্য খুঁজছেন তা খুঁজে বের করতে পারেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
তবে বিভিন্নভাবে বিতর্কিত প্রমাণিত হয়েছে গুগলের এই ফিচারটি। ভুল তথ্য বা রসিকতাকে প্রামাণিক উপাদান হিসেবে উপস্থাপন করার অভিযোগের পাশাপাশি কেউ কেউ দাবি করেছেন, যেসব ওয়েবসাইট থেকে গুগল তথ্য সংগ্রহ করছে তাতে তাদের ক্ষতি হচ্ছে। কারণ সেসব ওয়েবসাইট থেকে ব্যবহারকারীদের সরাসরি ক্লিক করে ওইসব তথ্য পড়ার প্রবণতা কমে গেছে।
সমালোচকদের মধ্যে অনলাইন কোম্পানি চেগ’ও রয়েছে। কোম্পানিটি এই সপ্তাহে একটি অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা দায়ের করেছে গুগলের বিরুদ্ধে। চেগ যুক্তি দিয়েছে, মার্কিন সার্চ জায়ান্টটির এই ফিচার অন্যদের প্রতিযোগিতা করাকে অসম্ভব করে তুলছে।
মামলায় চেগ বলেছে, গুগলের এ ফিচারটি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিচ্ছে, তবে বিনিময়ে কিছুই দিচ্ছে না। এর ফলে “ফাঁপা তথ্য তৈরি হবে, যা খুব একটা কাজে আসবে না ও অবিশ্বাসের তৈরি করবে।”
এটি ভিউয়ার্স ও গ্রাহকদের উপর প্রভাব এতটাই নাটকীয় প্রভাব ফেলছে যে, আর্থিক সমস্যার মুখে পড়েছে কোম্পানিটি। এ কারণে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এখন বিক্রি হয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে বা কেউ ব্যক্তিগতভাবে এটি কিনে নিক সে কথা বিবেচনা করতে বাধ্য হচ্ছে চেগ।
মামলায় চেগ আরও যুক্তি দিয়েছে, ফিচারটি অ্যান্টিট্রাস্ট আইন লঙ্ঘন করেছে, যে আইনে নিশ্চিত করা হয়েছে, বিভিন্ন কোম্পানিকে খুব বেশি ক্ষমতা দেওয়া হবে না। এ আইনে বিভিন্ন কোম্পানি একটি পণ্য অন্য পণ্য গ্রহণের শর্তে বিক্রি করতে পারবে না।
‘এআই ওভারভিউজ’ ফিচার নিয়ে এই প্রথম কোনো কোম্পানি এ ধরনের মামলা করল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইন্ডিপেনডেন্ট।
এদিকে, মামলার জবাবে গুগল রয়টার্সকে বলেছে, তারা “ওয়েব জুড়ে কোটি কোটি সাইটে ক্লিক পাঠানোর পাশাপাশি আমাদের এআই ওভারভিউ ফিচারটি বিভিন্ন সাইটে ট্রাফিকও পাঠায়।”