সুপারশপে কেনাকাটায় অতিরিক্ত ভ্যাট দিতে হবে না

সুপারশপে কেনাকাটার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের অতিরিক্ত ভ্যাট দিতে হবে না। পণ্যের খুচরা মূল্য হিসেবে যে দাম লেখা থাকবে, তা দিলেই চলবে। এতে সুপারশপ মালিকরা রেয়াত নিতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
ভ্যাট সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা
চলতি বছরের বাজেট ঘোষণার সময় সুপারশপের কেনাকাটার ওপর ৭.৫ শতাংশ হারে ভ্যাট ধার্য করা হয়। এ নিয়ে সুপারশপের মালিকরা আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন এবং এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক দফায় আলোচনা করেন।
এনবিআরের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, সুপারশপের পণ্যের গায়ে লেখা খুচরা মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে হবে, যাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ফলে ক্রেতাদের আলাদাভাবে অতিরিক্ত ভ্যাট দিতে হবে না।
সুপারশপ খাতে ভ্যাট আদায়ের হিসাব
জানা গেছে, প্রতিবছর সুপারশপ খাত থেকে দেড়শ কোটি টাকার বেশি ভ্যাট পায় এনবিআর। তবে সুপারশপ মালিকদের মতে, যদি খুচরা মূল্যের মধ্যে ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থেকে সঠিকভাবে বেচাকেনা হয়, তাহলে সুপারশপ খাত থেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ভ্যাট আদায় সম্ভব হবে।
নতুন নির্দেশনার প্রভাব
- ক্রেতাদের জন্য সুবিধা: ক্রেতাদের আর অতিরিক্ত ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে না, যা খরচের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।
- সুপারশপ মালিকদের জন্য রেয়াত: মালিকরা তাদের মূল্যের উপর ভিত্তি করে ভ্যাট রেয়াত পাবেন, যা ব্যবসার জন্য সহায়ক হবে।
- ভ্যাট সংগ্রহে স্বচ্ছতা: সুপারশপগুলোর মাধ্যমে ভ্যাট আদায়ের একটি স্বচ্ছ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও চ্যালেঞ্জ
এনবিআর সুপারশপ মালিকদের পরামর্শ দিয়েছে, তারা যেন কেবলমাত্র নিবন্ধিত সরবরাহকারীদের কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করে, যাতে ভ্যাট প্রদান সহজ হয়। উৎপাদন পর্যায়ে যেসব পণ্যে ভ্যাট নেই, সেগুলোর ক্ষেত্রে সুপারশপের মালিকদের ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ সুপারশপ খাতকে আরও নিয়মতান্ত্রিক করবে এবং কর ফাঁকি কমিয়ে দেবে। তবে এটি কার্যকর করতে যথাযথ নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে।
উপসংহার
এনবিআরের নতুন সিদ্ধান্ত সুপারশপ কেনাকাটার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও সুশৃঙ্খল করব্যবস্থা গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ক্রেতারা এখন থেকে নির্ধারিত খুচরা মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন, যা অতিরিক্ত ভ্যাটের বোঝা কমাবে। পাশাপাশি সুপারশপ মালিকদের জন্যও এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, যা ব্যবসায়িক কার্যক্রম সহজতর করবে।