ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সৌদি আরবে যথেষ্ট জায়গা আছে: নেতানিয়াহুর নতুন তত্ত্ব

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি নতুন তত্ত্ব উপস্থাপন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, সৌদি আরবের ভূখণ্ডে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনিদের গাজা, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম নিয়ে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সৌদি আরবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র
গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের ডানপন্থী সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ফোরটিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, “সৌদি কর্তৃপক্ষ সৌদি আরবে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে। সেখানে তাদের অনেক ভূমি আছে।” তাঁর এই বক্তব্য ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে, যা অনেকের কাছে বিতর্কিত মনে হচ্ছে।
সৌদি আরবের অবস্থান
সৌদি আরব ইতোমধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শর্ত দিয়েছে। নেতানিয়াহুর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবে না।
নেতানিয়াহুর উদ্বেগ
নেতানিয়াহু আরও বলেন, “আমি ইসরায়েল রাষ্ট্রকে বিপন্ন করবে এমন কোনো চুক্তি করব না, বিশেষ করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে।” তিনি উল্লেখ করেন, “৭ অক্টোবরের পরও? আপনি কি জানেন সেটা কী? একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ছিল, এটিকে গাজা বলা হতো। হামাসের নেতৃত্বে গাজা ছিল একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র এবং দেখুন, আমরা কী পেয়েছি, হলোকাস্টের পর সবচেয়ে বড় গণহত্যা।”
যুক্তরাষ্ট্র সফর
নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় চ্যানেল ফোরটিন এই সাক্ষাৎকারটি নেয়। সফরের শুরুতে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিতে তাঁর পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।
শান্তির সম্ভাবনা
নেতানিয়াহু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমি মনে করি, ইসরায়েল এবং সৌদি আরবের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি কেবল সম্ভাবনাই নয়, আমি মনে করি, এটি ঘটতে চলেছে।” তবে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যের পর স্পষ্ট হয় যে, তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শর্তে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবে।
নেতানিয়াহুর এই নতুন তত্ত্ব এবং সৌদি আরবের অবস্থান ফিলিস্তিন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক রাজনীতির জটিলতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সৌদি আরবের ভূমিকা এবং নেতানিয়াহুর বক্তব্যের প্রভাব আগামী দিনে কীভাবে প্রতিফলিত হবে, তা দেখার বিষয়।