যুক্তরাষ্ট্র আবারও ভেনেজুয়েলার সরকারি উড়োজাহাজ জব্দ করলো

ক্যারিবীয় দেশ ডমিনিকান রিপাবলিক থেকে ভেনেজুয়েলার আরেকটি সরকারি উড়োজাহাজ জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে কয়েকমাসের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার দুটি সরকারি বিমান জব্দ করলো।
বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে দাসোঁ ফ্যালকন-২০০ বিমানটি জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কেন এই উড়োজাহাজ জব্দ করা হলো?
মার্কিন প্রশাসনের দাবি, নিষেধাজ্ঞা, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ও মুদ্রা পাচারের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই উড়োজাহাজটি জব্দ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের এক কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিক পরোয়ানা নিয়ে সান্তো ডমিঙ্গো বিমানবন্দরে গিয়ে এটি জব্দের ঘোষণা দেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা গ্রিস, তুরস্ক, রাশিয়া, নিকারাগুয়া ও কিউবা সফরের জন্য উড়োজাহাজটি ব্যবহার করতেন।
পূর্ববর্তী বিমান জব্দের ঘটনা
এটি প্রথম নয়, এর আগে কয়েক মাস আগে ডমিনিকান রিপাবলিক থেকে ভেনেজুয়েলার আরও একটি সরকারি উড়োজাহাজ জব্দ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসনের বক্তব্য, মাদুরো সরকারকে চাপে রাখতে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মার্কো রুবিওর ভূমিকা
কিউবান অভিবাসীর সন্তান মার্কো রুবিও মার্কিন সেনেটর থাকাকালীন থেকেই কিউবার কমিউনিস্ট সরকারের মিত্র ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি মাদুরোর বিরুদ্ধে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে মত দিয়েছেন।
এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে রুবিও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে মার্কিন প্রশাসন এখনো মাদুরোকে ভেনেজুয়েলার বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না।
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক তৎপরতা
জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেল ভেনেজুয়েলা সফর করেন। তিনি মাদুরোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ছয় মার্কিন নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন। গ্রেনেল ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করার বিষয়েও মাদুরোর সঙ্গে আলোচনা করেন।
ভেনেজুয়েলার প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে মন্তব্য চাওয়া হলে ভেনেজুয়েলার সরকার তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ মাদুরো সরকারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে।