ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বুধবার রাতে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকা থেকে ছুটে আসা শিক্ষার্থী ও লোকজনের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ককটেল দুটি নিক্ষেপ করা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে টিএসসি এলাকায় বিকট শব্দের সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে।
ঘটনা বিস্তারিত
ঘটনা ঘটে রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে। ওই সময় টিএসসিতে ফ্যাসিবাদী গুম, খুন ও লুটপাট নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছিল। প্রদর্শনীর মাঝপথে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিক থেকে দু’টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। প্রতিটি বিস্ফোরণ শিক্ষার্থী ও আশপাশের জনগণকে আতঙ্কিত করে।
বিস্ফোরণের পরপরই ক্যাম্পাসে ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে মিছিল বের করে। তারা ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর’ স্লোগান দেন। এ ঘটনায় আহত বা হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও ঢাবির প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। তবে ককটেল নিক্ষেপকারীদের ধরা যায়নি। প্রাথমিক তদন্ত চলমান রয়েছে।
প্রাথমিক তদন্ত ও পুলিশি কর্মকাণ্ড
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পরই তারা টিএসসি এলাকা ঘিরে রেখেছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। প্রক্টরিয়াল বডিও নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশনা জারি করেছে। ক্যাম্পাসের অন্যান্য অংশেও পুলিশি উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি, ককটেল নিক্ষেপের পেছনে কী উদ্দেশ্য কাজ করেছে।”
ঘটনার প্রেক্ষাপট
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ঢাবির মতো কেন্দ্রবিন্দুতে এ ধরনের ঘটনা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “এই ধরনের হামলা শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ভয় তৈরি করে এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে। এটি একটি গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ।”
শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া
বিস্ফোরণের পর ক্যাম্পাসে থাকা শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা একে নাগরিক নিরাপত্তা ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার জন্য জরুরি পদক্ষেপের দাবি জানান।
শিক্ষার্থী রাজীব বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পড়াশোনা করতে চাই। কিন্তু এমন ঘটনা আমাদের আতঙ্কিত করেছে। দ্রুত দোষীদের খুঁজে বের করা দরকার।”
এম আর এম – ২২১৪,Signalbd.com



