বাংলাদেশ

ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে সেনাসদরে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি

Advertisement

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায়ের দিন নির্ধারণকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনালের অফিস থেকে সেনাসদরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চিঠি প্রেরণের উদ্দেশ্য

সুপ্রীম কোর্টের চিঠি অনুযায়ী, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) চব্বিশের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করা হবে।

এই রায়ের দিনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রমের সম্ভাব্য প্রভাব বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনাল এলাকা ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য সেনা মোতায়েনের জন্য চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।

রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ঢাকায় গত কয়েক দিনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ডিএমপির ৫০টি থানায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিশেষভাবে হাইকোর্ট এলাকা, বাংলা একাডেমি, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থাপনায় সকাল থেকেই নিরাপত্তা কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। এর ফলে যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

প্রেক্ষাপট ও রাজনৈতিক গুরুত্ব

এই মামলার রায় ঘোষণার দিনকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম এবং ‘লকডাউন কর্মসূচি’ ঘিরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির হতে পারে।

পূর্বের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, গুরুত্বপূর্ণ আদালত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার মাধ্যমে সাধারণ জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

সেনা মোতায়েনের বিশদ

সেনাসদরে প্রেরিত চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ট্রাইব্যুনাল এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সেনা বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।

সুপ্রীম কোর্ট সূত্রে জানা গেছে, এই পদক্ষেপ মূলত আদালতের নিরাপত্তা, বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নেওয়া হয়েছে।

প্রতিক্রিয়া ও বিশ্লেষণ

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ আদালতের কার্যক্রমে শান্তি বজায় রাখতে সহায়ক। যদিও রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে নিরাপত্তা বাড়ানো প্রয়োজন, তবুও এটি সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় কোনো বড় বিঘ্ন ঘটাতে পারবে না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন শুধুমাত্র প্রশাসনিক উদ্যোগ এবং এটি দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ।

নিরাপত্তা পরিকল্পনার সম্ভাব্য প্রভাব

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থাপনায় সেনা মোতায়েনের ফলে সাধারণ যানজট এবং কিছুক্ষণ জন্য চলাচলে অসুবিধা হতে পারে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে সহযোগিতা করার জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা ও নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

বিশেষভাবে আদালত এলাকা ও আশেপাশের স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ফলে যে কোনো হঠাৎ ঘটনার প্রভাব কমানো সম্ভব হবে।

ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আগামী রায় ঘোষণার দিন রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং জনজীবনে সম্ভাব্য প্রভাব বিবেচনা করে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবেলা করতে প্রশাসনের কার্যক্রম এবং সেনা মোতায়েন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এম আর এম – ২২০৯,Signalbd.com

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button