বাংলাদেশ

শুক্র-শনিবারেও চলবে শাহজালাল বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম

Advertisement

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখতে আগামী শুক্র ও শনিবার (২৪ ও ২৫ অক্টোবর) শুল্কায়ন কার্যক্রম চলবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। এর ফলে ঢাকা কাস্টমস হাউসের সব শুল্ক দল তাদের অফিসে উপস্থিত থেকে কার্যক্রম চালাবে।

নির্দেশনার বিস্তারিত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আদেশ অনুযায়ী, কাস্টমস হাউস, ঢাকার শুদ্ধায়ন টিম, এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে আগামী শুক্র ও শনিবার অফিস খোলা থাকবে। এর উদ্দেশ্য হল অগ্নিকাণ্ডের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করা এবং ব্যবসায়িক ক্ষতি কমানো।

সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে এই নির্ধারিত সময়ে অফিসে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে যাতে কার্গো ভিলেজে আগুনের পর পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়।

কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষাপট

গত ১৮ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে কুরিয়ার সার্ভিস এবং আমদানি কমপ্লেক্সের অনেক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের পর অবিলম্বে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা ক্ষয়ক্ষতি ও দায়িত্ব নির্ধারণের জন্য জরুরি তদন্ত শুরু করেছে।

প্রভাবিত খাত ও ব্যবসায়িক গুরুত্ব

কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ফলে দেশের ব্যবসায়িক চ্যানেলগুলোতে কার্যক্রমে প্রভাব পড়েছে। আমদানি ও রপ্তানি পণ্য সরবরাহে বিলম্ব হচ্ছে এবং কুরিয়ার সার্ভিসে জটিলতা দেখা দিয়েছে।

শুক্র-শনিবার শুল্কায়ন কার্যক্রম চালু রাখার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা তাদের সরবরাহ চেইন বজায় রাখতে পারবেন। বিশেষ করে আমদানি পণ্য এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই বিশেষ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং বাণিজ্যিক কার্গোর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। পূর্বেও ছোটখাটো দুর্ঘটনা বা আগুনের ঘটনা ঘটলেও এবারকার আগুনের মাত্রা এবং ক্ষতি উল্লেখযোগ্য। তাই কর্তৃপক্ষের ত্বরিত ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে।

নির্দেশনার ফলে অগ্নিকাণ্ডের কারণে বাধাপ্রাপ্ত আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুত পুনঃপ্রারম্ভ করা সম্ভব হবে।

বিশ্লেষণ ও মতামত

বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুল্কায়ন কার্যক্রম চলমান রাখা দেশের বাণিজ্য চেইনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এক বিশ্লেষক বলেন, “কার্গো ভিলেজে আগুনের কারণে আমদানি-রপ্তানি চেইন প্রভাবিত হয়েছে। সরকারি অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত ব্যবসায়িক ক্ষতি সীমিত করবে এবং পণ্য সরবরাহে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে।”

অর্থনীতিবিদরাও মনে করছেন, দ্রুত শুল্ক কার্যক্রম চালু রাখলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্যতা বজায় থাকবে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের পর দ্রুত কার্যক্রম সচল রাখতে শুল্কায়ন কার্যক্রম শুক্র-শনিবারও চলবে। এ সিদ্ধান্ত ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে এবং দেশের অর্থনৈতিক চ্যানেল স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এদিকে, কর্তৃপক্ষের তৎপরতা এবং কর্মকর্তাদের উপস্থিতি দেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের দ্রুত পুনঃপ্রারম্ভে সহায়ক হবে।

এম আর এম – ১৯০৪,Signalbd.com

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button