রাজনীতি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোটের দাবি জামায়াতের

Advertisement

বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী নভেম্বর মাসে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে। বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের এ দাবি জানান।

জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা রাজনৈতিক দলগুলোকে আইনি ভিত্তি ও কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে নির্বাচন পূর্ববর্তী প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে।

গণভোটের প্রয়োজনীয়তা ও আইনি ভিত্তি

ডা. তাহের বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ আকারে জারি করা হলে তা কার্যকর হবে। অধ্যাদেশের মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়ন দুর্বল এবং জটিল। তিনি বলেন, “গণভোট ছাড়া সনদের যথাযথ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এছাড়া, নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে প্রশাসনে কিছু রদবদল ও পদায়ন জরুরি।”

জামায়াতের দাবি, নভেম্বরের শেষের মধ্যে গণভোট সম্পন্ন করা হলে জাতীয় নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য এবং সুষ্ঠু করা সম্ভব হবে। ডা. তাহের আরও উল্লেখ করেন, প্রশাসনে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী একটি দলের আনুগত্যের কারণে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা কঠিন।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক

জামায়াতের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচন পূর্ববর্তী সনদের কার্যকর বাস্তবায়ন এবং প্রশাসনে প্রয়োজনীয় ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা জরুরি।

ডা. তাহের জানান, প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে আশ্বাস দিয়েছেন যে নির্বাচনের আগে প্রশাসনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জামায়াতের বক্তব্য অনুযায়ী, প্রশাসন ও পুলিশের মধ্যে ৭০ শতাংশ লোক একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করে। এর ফলে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। জামায়াতের মতে, নির্বাচনের আগে রদবদল ও ভারসাম্য আনাই সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার একমাত্র উপায়।

ডা. তাহের বলেন, “দেশের কল্যাণের জন্য কিছু অতিরিক্ত খরচ হলেও গণভোট আগে করাই সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার উপায়।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞ মতামত

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, জামায়াতের এই দাবির প্রেক্ষাপটে জাতীয় রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, “গণভোট আয়োজনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের দৃষ্টিতে দায়িত্বশীলতা প্রদর্শন করবে। তবে প্রশাসনে যথাযথ সমন্বয় না থাকলে ফলাফল রাজনৈতিক ও আইনি জটিলতায় পড়তে পারে।”

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে ডা. তাহের বলেন, “যদিও এ নিয়ে সরাসরি আলোচনা হয়নি, তবে আমরা মনে করি বর্তমান সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব পালন করতে পারে।”

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের দাবি নতুন রাজনৈতিক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নভেম্বরের শেষে গণভোট অনুষ্ঠিত হলে এটি জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে রিফর্ম কমিটি গঠনের পথ সুগম করবে। বিশ্লেষকদের মতে, আগামী মাসের গণভোটের প্রভাব সরাসরি জাতীয় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা এবং নির্বাচনী পরিবেশকে প্রভাবিত করবে।

এম আর এম – ১৮৯৮,Signalbd.com

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button