জাপান থেকে এলো ২২৭টি গাড়ি
জাপান থেকে মোংলা বন্দরে আমদানি হয়েছে নামি-দামি ব্র্যান্ডের ২২৭টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী ভাইকিং ড্রাইভ জাহাজে করে এই গাড়িগুলো দেশে আনা হয়।
গাড়ির আমদানি প্রক্রিয়া
গাড়িবাহী জাহাজটির শিপিং এজেন্ট ক্রাউন নেভিগেশন কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন জানান, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর জাপান থেকে ৬৭৬টি গাড়ি নিয়ে জাহাজটি যাত্রা শুরু করে। জাহাজটি ২৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করে। সেখানে ৪৪৯টি গাড়ি খালাসের পর ২২৭টি গাড়ি নিয়ে শনিবার বিকাল ৪টায় ৭ নম্বর মোংলা বন্দরে জেটিতে নোঙর করে। এরপর ধীরে ধীরে গাড়িগুলো খালাস শুরু হয়।
মোংলা বন্দরের গুরুত্ব
মোংলা বন্দর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর। এখানে গাড়ির আমদানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ পর্যন্ত মোংলা বন্দরে প্রায় দুই লাখ গাড়ি আমদানি হয়েছে, যা মোট আমদানি করা গাড়ির শতকরা ৬০ ভাগ।
গত অর্থবছরের তুলনা
২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোংলা বন্দর দিয়ে ১৫ হাজার ৩৪০টি গাড়ি আমদানি হয়েছে। গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ১৩ হাজার ৫৭১টি গাড়ি। এই পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে যে, মোংলা বন্দরের মাধ্যমে গাড়ির আমদানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশের যানবাহন খাতের জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত।
গাড়ির মান ও বৈচিত্র্য
জাপান থেকে আমদানি করা গাড়িগুলো সাধারণত উচ্চ মানের এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হয়ে থাকে। রিকন্ডিশন্ড গাড়িগুলো সাধারণত নতুন গাড়ির তুলনায় কম দামে পাওয়া যায়, যা মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের জন্য একটি ভালো বিকল্প। এই গাড়িগুলো সাধারণত জাপানে ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবং পরে সেগুলোকে পুনরায় নতুন করে প্রস্তুত করা হয়।
পরিবেশ ও অর্থনীতি
গাড়ির আমদানি দেশের পরিবহন খাতের উন্নয়নে সহায়তা করছে। নতুন গাড়ি আসার ফলে পরিবহন ব্যবস্থা আরও উন্নত হচ্ছে এবং মানুষের চলাচলের সুবিধা বাড়ছে। এছাড়া, গাড়ির আমদানি দেশের অর্থনীতিতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে।
জাপান থেকে ২২৭টি গাড়ির আমদানি দেশের অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। মোংলা বন্দরের মাধ্যমে গাড়ির আমদানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশের যানবাহন খাতের উন্নয়নে সহায়ক হবে। আশা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে আরও বেশি গাড়ি আমদানি হবে, যা দেশের অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।