জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি: নতুন মূল্য তালিকা প্রকাশ
বাংলাদেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ১ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। ডিজেল ও কেরোসিনের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৫ টাকা, অকটেন ১২৬ টাকা এবং পেট্রোল ১২২ টাকা প্রতি লিটার। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে ৩১ জানুয়ারি জারি করা প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, এই নতুন দাম ১ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে কার্যকর হবে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণ
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামের ওঠানামার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিত করতে এই মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
পূর্ববর্তী মূল্য ও বর্তমান পরিবর্তন
নিচে জ্বালানি তেলের নতুন ও পূর্বের দামের তুলনামূলক একটি টেবিল দেওয়া হলো—
জ্বালানি তেলের ধরন | পূর্বের দাম (১ জানুয়ারি ২০২৫) | নতুন দাম (৩১ জানুয়ারি ২০২৫) | মূল্য বৃদ্ধি |
---|---|---|---|
অকটেন | ১২৫ টাকা/লিটার | ১২৬ টাকা/লিটার | ১ টাকা |
পেট্রোল | ১২১ টাকা/লিটার | ১২২ টাকা/লিটার | ১ টাকা |
ডিজেল | ১০৪ টাকা/লিটার | ১০৫ টাকা/লিটার | ১ টাকা |
কেরোসিন | ১০৪ টাকা/লিটার | ১০৫ টাকা/লিটার | ১ টাকা |
এই নতুন দাম ৩১ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে কার্যকর হয়েছে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে বহুমুখী প্রভাব ফেলে। পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় পণ্যের মূল্যও বেড়ে যায়, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ায়। কৃষি খাতে সেচের জন্য ডিজেলের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি কৃষকদের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দেয়, যা খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি মোকাবিলায় করণীয়
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব কমাতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে বিকল্প জ্বালানি উৎসের ব্যবহার, জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং জ্বালানি খাতে ভর্তুকি প্রদানের মতো পদক্ষেপ নিতে হবে। সাধারণ মানুষকেও জ্বালানি সাশ্রয়ে সচেতন হতে হবে, যেমন গণপরিবহনের ব্যবহার বৃদ্ধি, জ্বালানি দক্ষ যানবাহন ব্যবহার এবং অপ্রয়োজনীয় জ্বালানি ব্যবহার পরিহার করা।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। তবে সঠিক নীতি ও কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে এই প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সরকার, সংশ্লিষ্ট সংস্থা এবং সাধারণ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব কমিয়ে আনা যেতে পারে।