
প্রায় সাত বছর পর বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রাজধানীর জিয়াউর রহমান উদ্যানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের সমাধিতে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া করতে গিয়েছেন। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার পর গুলশানের নিজ বাসা থেকে তিনি সমাধির উদ্দেশ্যে রওনা হন।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিন খালেদা জিয়ার সমাধি দর্শনটি পারিবারিক বা চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজের বাইরে প্রথমবারের মতো বাসা থেকে বের হওয়ার ঘটনা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
রাজনৈতিক ও পারিবারিক প্রতিক্রিয়া
খালেদা জিয়ার সমাধি দর্শনের খবর পাওয়ার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটি এবং অন্যান্য সিনিয়র নেতারা তাকে সমর্থন জানিয়েছেন। দলের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, “চেয়ারপারসনের এই পদক্ষেপ দলের সকল সদস্যকে ঐক্যবদ্ধ রাখবে এবং দলের মর্যাদা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।”
পারিবারিক সদস্যরা জানিয়েছেন, এই সমাধি দর্শন খালেদা জিয়ার জন্য মানসিক শান্তি এবং শহীদ রাষ্ট্রপতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল।
সমাধি দর্শনের সময় নিরাপত্তা ও আয়োজন
জিয়াউর রহমান উদ্যানে সমাধি দর্শনের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর রাখা হয়। পুলিশের পাশাপাশি বিএনপির নিজস্ব নিরাপত্তা দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সমাধি দর্শনটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় এবং কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা সমস্যা দেখা যায়নি।
সমাধি দর্শনের সময় দলের নেতারা খালেদা জিয়াকে ঘিরে রাখেন এবং প্রয়োজনীয় সমর্থন প্রদান করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ও প্রভাব
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, খালেদা জিয়ার এই সমাধি দর্শন রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ সময় ঘরবন্দি থাকার পর তিনি নিজে পদক্ষেপ নিয়ে সমাধি দর্শনে গিয়ে দলের নেতাদের প্রেরণা দিয়েছেন। এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতে দলের কার্যক্রম ও নেতাদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।
রাজনীতিবিদরা বলছেন, এটি বিএনপির ঐতিহ্য এবং শোক ও শ্রদ্ধার প্রতি দলের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের একটি সংকেত। বিশেষজ্ঞরা এটিকে একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে দেখছেন।
খালেদা জিয়ার প্রায় সাত বছর পর জিয়াউর রহমানের সমাধি দর্শন বিএনপি এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি শুধু পারিবারিক শ্রদ্ধার মুহূর্ত নয়, বরং রাজনৈতিক ও দলের ঐক্যের প্রতীক হিসেবেও ধরা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের পদক্ষেপ ভবিষ্যতে দলের অভ্যন্তরীণ সমন্বয় এবং নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। খালেদা জিয়ার সমাধি দর্শন রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ঘটনা হিসেবে রয়ে যাবে।
এম আর এম – ১৬৯৬,Signalbd.com