
ঢাকায় সফররত যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহিলা শাখার নেত্রীরাও।
বিস্তারিত
সোমবার বিকেল ৩টায় ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি সৌহার্দ্যপূর্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল বাণিজ্য দূতের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন।
প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন:
- কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ
- কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন
- কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগের সহকারী সেক্রেটারি মিসেস সাইয়েদা রুম্মান
- কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগের মানবসম্পদ, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট সাবিকুন্নাহার মুন্নি
- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের মহিলা বিভাগের সহকারী সেক্রেটারি ডা. শাহানা পারভিন
বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, ব্যবসায়-বাণিজ্যের অগ্রগতি, বিশেষ করে গার্মেন্টস, ওষুধ শিল্প, কৃষিখাত, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
মহিলা শাখার উপস্থিতি ও ভূমিকা
এই বৈঠকে মহিলা শাখার প্রতিনিধিরা মূল আলোচনার অংশ ছিলেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারী সমাজের অবদান এবং বিশেষত হস্ত ও কুটির শিল্পে নারীদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
উভয় পক্ষই নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের সহায়তা ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
মহিলা নেতৃবৃন্দ জানান, নারী সমাজের ক্ষমতায়ন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও কুটির শিল্পের উন্নয়ন এবং নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিয়মিতভাবে বিদেশি দূতাবাস ও কূটনৈতিক সংস্থার সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক আয়োজন করে। এই ধরনের বৈঠক দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগের সুযোগ প্রসারিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বৃটিশ বাণিজ্য দূতের সঙ্গে এই বৈঠক দুই দেশের ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে বিশেষ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৈঠকে আলোচিত বিষয়সমূহ
- রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন
উপস্থিত প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এবং জনগণের অংশগ্রহণ বিষয়ক অবস্থা তুলে ধরেন। - বাণিজ্য ও অর্থনীতি
বৈঠকে বাংলাদেশের গার্মেন্টস, ওষুধ শিল্প, কৃষিখাত ও শিক্ষা খাতের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে যুক্তরাজ্যের সম্ভাব্য অবদানও আলোচনা করা হয়। - নারী ক্ষমতায়ন ও হস্তশিল্প
নারী উদ্যোক্তাদের অবদান, হস্ত ও কুটির শিল্পে নারীদের সম্পৃক্ততা এবং দক্ষতা উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ক আলোচনা হয়। - দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক
উভয় পক্ষ ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের পারস্পরিক সহযোগিতা, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে আরও শক্তিশালী করার ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করেন।
বিশ্লেষণ ও বিশেষজ্ঞ মতামত
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কূটনৈতিক এই উদ্যোগ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত খুলতে পারে।
জামায়াতের মহিলা শাখার সক্রিয় অংশগ্রহণ নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক বার্তা দেয়। এছাড়া ব্যবসায়-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, হস্ত ও কুটির শিল্পে নারীদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং দক্ষতা উন্নয়ন আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত ব্রিটিশ বাণিজ্য দূতের সঙ্গে জামায়াতের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে শক্তিশালী করার দিক নির্দেশ করছে।
মহিলা শাখার অংশগ্রহণ এই বৈঠককে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে, যা নারী ক্ষমতায়ন ও হস্তশিল্পে বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনার সূচনা করবে।
পরবর্তী ধাপে এই ধরনের উদ্যোগ কিভাবে বাস্তবায়িত হবে, তা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
এম আর এম – ১৬৫১,Signalbd.com