অর্থনীতি

রমজান উপলক্ষে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মসুর ডাল আমদানি শুরু

পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মসুর ডাল আমদানি শুরু হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় ভারতীয় একটি ট্রাকে করে ৫ টন মসুর ডাল বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এর আগে, সোমবার প্রথমবারের মতো আরও ৫ টন ডাল আমদানি করা হয়। প্রতি কেজি ডালের আমদানি খরচ পড়েছে ১০৮ টাকা।

ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এশিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ভারতের কলকাতার এমক্সটিম প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ১০ টন মসুর ডাল আমদানি করেছে। প্রতি টন ডালের মূল্য ৯০০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের মেসার্স আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।

আমদানিকারকরা জানান, রমজান মাসে ডালের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। বাজারে ভালো মূল্য পাওয়া গেলে এবং চাহিদা থাকলে নিয়মিতভাবে ডাল আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বিষয়েও তারা চিন্তাভাবনা করছেন।

আখাউড়া স্থলবন্দর মূলত রপ্তানিমুখী বন্দর হিসেবে পরিচিত। এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন হিমায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট, প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন পণ্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে রপ্তানি হয়। তবে, সম্প্রতি এ বন্দর দিয়ে আমদানিও শুরু হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ৬ জানুয়ারি ৫ টন জিরা আমদানি করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় ১১টি পণ্য আমদানি সহজ করতে বিশেষ সুবিধা প্রদান করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি এবং খেজুর। এ উদ্যোগের ফলে রমজান মাসে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা মেটাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তারা নিয়মিতভাবে ডালসহ অন্যান্য পণ্য আমদানির পরিকল্পনা করছে, যা দেশের বাজারে পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করবে।

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় অর্থনীতি ও বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এ চাহিদা মেটাতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে। আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ডাল আমদানি শুরু হওয়া তারই একটি উদাহরণ। এতে করে রমজান মাসে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে এবং মূল্য স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রমের সম্প্রসারণ দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করে দেশের বাণিজ্যিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন।

সার্বিকভাবে, রমজান উপলক্ষে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মসুর ডাল আমদানি শুরু হওয়া দেশের বাজারে পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করবে। এ উদ্যোগের ফলে রমজান মাসে সাধারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহে কোনো অসুবিধা হবে না বলে আশা করা যায়।

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button