
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭১ রান তোলে তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান আসে শাহিবজাদা ফারহানের ব্যাট থেকে। তিনি করেন ৫৮ রান। এছাড়া শেষ দিকে ফাহিম আশরাফের দ্রুত ২০ রান পাকিস্তানের সংগ্রহকে ১৭০ রানের ঘরে পৌঁছে দেয়।
পাকিস্তান ভারতের ইনিংসের উত্থান-পতন
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ১৭২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে পাকিস্তান। ৫ উইকেটে ১৭১ রান তোলে তারা। টি–টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে এটাই পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২১ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। হার্দিক পান্ডিয়ার শিকার হয়ে ১৫ রানে ফেরেন ফখর জামান। দ্বিতীয় উইকেটে ৭২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন শাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আয়ুব। জুটি ভাঙে সাইম ২১ রানে সাজঘরে ফিরলে। টিকতে পারেননি হুসেইন তালাতও। শিবম দুবের দ্বিতীয় শিকার হন ৫৮ রান করা ফারহান।
দ্রুত উইকেট হারিয়ে রানের গতি কমে যায় পাকিস্তানের। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ভারত। যেখানে প্রথম ১০ ওভারে ৯১ রান তুলেছিল পাকিস্তান। কিন্তু সর্বশেষ ৭ ওভারে করতে পেরেছে মাত্র ৩৮ রান। তবে শেষ দিকে সালমান আঘার ১৩ বলে ১৭ ও ফাহিম আশরাফের ৮ বলে ২০ রানের ক্যামিওতে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান। ভারতের হয়ে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন শিবম দুবে। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া ও কুলদীপ যাদব।
ভারতের লক্ষ্য ছিল ১৭২ রান। ওপেনাররা ঝড় তুললেও মাঝের দিকে কিছুটা ধীরগতি আসে। তবে দলের নিয়ন্ত্রণ কখনোই হাতছাড়া হয়নি। অভিষেক শর্মার ৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। তার পাশাপাশি গিলের ৪২ রানের ইনিংসও ছিলো কার্যকর।
শেষ দিকে অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও সূর্যকুমার যাদবের ছোট ক্যামিও জয়ের পথ আরও সহজ করে দেয়।
ইতিহাসে লজ্জার রেকর্ড পাকিস্তানের
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের ইতিহাসে আগে কখনো টানা ছয় ম্যাচে একে অপরকে হারানোর নজির ছিল না। পাকিস্তান এই রেকর্ডে নিজেদের নাম লিখিয়েছে ব্যর্থতার মাধ্যমে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হার পাকিস্তানের ক্রিকেটে গভীর প্রভাব ফেলবে। ভক্তরাও দলের পারফরম্যান্সে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন।
প্রতিক্রিয়া ও বিশ্লেষণ
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়করা মনে করছেন, ব্যাটিং অর্ডারে ধারাবাহিকতা না থাকা এবং বোলারদের নির্ভুল পরিকল্পনার অভাব দলকে বিপর্যস্ত করছে। অন্যদিকে ভারতীয় ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের দলীয় সংহতি এবং ম্যাচ পরিকল্পনাই জয় এনে দিয়েছে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
ভারতের কাছে পাকিস্তানের টানা ষষ্ঠ হার শুধু পরিসংখ্যান নয়, এটি দলীয় মনোবল ও সমর্থকদের প্রত্যাশার জন্য বড় আঘাত। ভারত যেখানে ধারাবাহিক সাফল্যের গল্প লিখছে, পাকিস্তান সেখানে বারবার একই ভুলে জড়িয়ে পড়ছে।
এম আর এম – ১৪৫৭,Signalbd.com