বুড়িমারী স্থলবন্দরে বিপুল পরিমাণ দুই টাকার নোট জব্দ

লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে অবৈধভাবে দুই টাকা ব্যাঙ্কনোট পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। প্রায় এক লাখ টাকার এসব নতুন নোট জব্দ করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা প্রহরী ও বিজিবি যৌথভাবে টাকা উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনাস্থল ও সময়
- তারিখ ও সময়: বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সালের দুপুরে
- স্থান: বুড়িমারী স্থলবন্দর, লালমনিরহাট
কী ঘটেছে
নিরাপত্তা প্রহরীরা বন্দরের খোলা ইয়ার্ডে এক অপরিচিত প্যাকেটের মধ্যে নতুন দুই টাকা নোট দেখতে পান। সন্দেহ হওয়ায় তারা খবর দেন কর্তৃপক্ষকে। এরপর বন্দরের প্রশাসন ও বিজিবি যৌথভাবে ঘটনাস্থল থেকে নোটগুলো জব্দ করে।
উদ্ধারকৃত পরিমাণ ও অবস্থা
- টাকার পরিমাণ: প্রাথমিকভাবে বলা হচ্ছে প্রায় এক লাখ টাকা मूल्यমানের দুই টাকা নোট পাওয়া গেছে।
- নোটের অবস্থা: নতুন, ব্যবহারিত নয়। পরিত্যক্ত অবস্থায় রেখে যাওয়া হয়েছিল।
সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য
- সহকারী পরিচালক, বুড়িমারী স্থলবন্দর বদিউজ্জামান জানান, নিরাপত্তা প্রহরীর কাছ থেকে খবর পেয়ে চিহ্নিত এলাকায় গিয়ে বিজিবির সহায়তায় নোট উদ্ধার করা হয়েছে।
- বিজিবি চেকপোস্ট কমান্ডার, আনজারুল ইসলাম বলেন, “পণ্য খালাসবাহী ট্রাকে নাকি এসব নোট চোরাচালানে ব্যবহার করা হবে — এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চেকপোস্টে তল্লাশি চলছিল। তখনই খবর আসে যে ইয়ার্ডে নোট পরিত্যক্ত রয়েছে। দ্রুত অভিযান চালিয়ে টাকা উদ্ধার করা হয়।”
- তিনি আরও জানান, জব্দকৃত টাকা বর্তমানে ৬১ বিজিবি হেফাজতে রয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সম্ভাব্য উদ্দেশ্য ও অনুমান
জিজ্ঞাসাবাদের অংশ হিসেবে কিছু সম্ভাবনা উঠে এসেছে:
- নতুন নোট চোরাচালান: কেউ হয়তো নতুন নোট বাজারে পাঠাতে চেয়েছিল, যাতে নজর কম পড়ে।
- অবৈধ উদ্দেশ্যে ব্যবহার: মাদক বা অন্য কোনো অবৈধ কাজে টাকা ব্যবহার করার পরিকল্পনা থাকতে পারে।
- ভেটো বা ফাঁকি: কোনো কাগজপত্র বা ট্রাকের পণ্যখালাসের অংশে ব্যবহার করার উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
তবে এখনও নিশ্চিত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে নোটগুলো কোথা থেকে এসেছে, কারা এনেছে বা কী উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছিল।
প্রতিক্রিয়া ও তদন্ত অবস্থা
- বন্দরের প্রশাসন ও বিজিবি যৌথভাবে বিষয়টি তদন্ত করছে।
- নিকট ভবিষ্যতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, গিজে টোল রিপোর্ট, ত্রিপক্ষীয় সাক্ষ্যগ্রহণ ও চলতি নিরাপত্তা প্রোটোকল বিশ্লেষণ হবে।
- যদি কেউ দায়ী পাওয়া যায়, তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ টাকা বহন ও চোরাচালানের অভিযোগ হতে পারে।
প্রাসঙ্গিক আইন ও নিয়ম
- বাংলাদেশে ব্যাংকনোটের অবাধ বণ্টন ও টাকার ক্ষেত্রে বিক্রি-বিতরণের নিয়ন্ত্রণ চালু রয়েছে।
- পুলিশের বাদে রাজস্ব সংক্রান্ত আইন, মুদ্রা আইন ও অর্থ লেনদেন নিয়ন্ত্রণ আইন এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
- বিজিবি কার্যবিধি ও স্থলবন্দর নিরাপত্তা নিয়ম অনুসরণ করেই জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি পরিচালিত হয়েছে।
জনস্বার্থ ও নিরাপত্তার গুরুত্ব
- মুদ্রা ব্যবহার ও নতুন নোট অবৈধভাবে বাজারে আসা যদি দ্বারাই অর্থনৈতিক সমস্যা সৃষ্টি করে, জনগণের আস্থাহত হতে পারে।
- সীমান্তের বন্দরের মতো স্থানে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা প্রয়োজন।
- সাধারণ মানুষ সতর্ক থাকুক, সন্দেহভাজন অবস্থা দেখলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানুক।
বুড়িমারী স্থলবন্দরে উদ্ধার হওয়া নতুন দুই‐টাকা নোটের ঘটনা আমাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার তীক্ষ্ণ পরীক্ষা। তদন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে জানা যাবে নোটগুলোর উত্স, দায়ী পক্ষ ও উদ্দেশ্য। জনগণের সচেতনতা ও কর্তৃপক্ষের সতর্ক মনোভাবই এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে পারে।
MAH – 12776, Signalbd.com