পুতিন-ট্রাম্প বৈঠক: ক্রেমলিনের অপেক্ষা ও বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া
পুতিন-ট্রাম্প বৈঠক: ক্রেমলিনের অপেক্ষা ও বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে ক্রেমলিন ওয়াশিংটনের সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার জানান, “এখন পর্যন্ত আমেরিকার কাছ থেকে আমরা কোনো সংকেত পাইনি। আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে, এবং একই ধরনের প্রস্তুতি আমেরিকারও রয়েছে বলে আমরা শুনেছি।”
বৈশ্বিক রাজনীতিতে পুতিন-ট্রাম্প বৈঠকের প্রভাব
গত সপ্তাহে ট্রাম্প এবং পুতিন উভয়েই বৈঠকের জন্য প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। তবে, বৈঠকের সময় ও স্থান সম্পর্কে এখনও কোনো পক্ষই নির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি। বিশ্বের এই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সম্পর্ক বর্তমানে স্নায়ুযুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে, যা প্রায় তিন বছর ধরে চলমান ইউক্রেন সংঘাতের কারণে আরও তীব্র হয়েছে।
ক্রেমলিনের দৃষ্টিকোণ: পুতিন ও ট্রাম্পের আলোচনা
২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে তিনি শিগগিরই পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে চান। পরদিন শুক্রবার পুতিন ট্রাম্পের প্রশংসা করে তাঁকে একজন ‘চৌকস’ ও ‘বাস্তববাদী’ ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকলে ২০২২ সালে ইউক্রেন সংঘাত হয়তো শুরুই হতো না।
এদিকে, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার দুই নেতার মধ্যে কোনো বৈঠক আয়োজন নিয়ে সতর্ক করেছে কিয়েভ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, পুতিন কৌশলে ট্রাম্পকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন।
বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া: পুতিন ও ট্রাম্পের বৈঠকের বিশ্লেষণ
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পুতিন-ট্রাম্প বৈঠক বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, ইউক্রেন সংঘাতের সমাধান এবং বিশ্ব জ্বালানি বাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে, বৈঠকের সুনির্দিষ্ট সময় ও স্থান নির্ধারণে উভয় পক্ষের মধ্যে আরও আলোচনা প্রয়োজন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ক্রেমলিন এখনও ওয়াশিংটনের আনুষ্ঠানিক সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছে। দুই নেতার মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে, তা বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।