সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেছেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতার মাধ্যমে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশের সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেছেন, আগামী দিনগুলো আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে, কারণ আমরা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, “নির্বাচন চাইলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। পরিবেশ নষ্ট হলে ভোট কঠিন জায়গায় চলে যাবে।” আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার মানিকনগরে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ আরও বলেন, “বিগত ১৫ বছরে দেশে দুর্নীতি ও অনিয়ম চলছিল। ৫ আগস্টের পর এমন একটি দেশ পেয়েছি যেখানে কোনো টাকা ছিল না, সিস্টেম কাজ করছিল না। অল্প সময়ের মধ্যে দুর্নীতি নির্মূল করা কঠিন।” তিনি বলেন, “মানুষ ভালোবেসে ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে নিয়ে এসেছে। আবার মানুষ ধৈর্যহীন হয়ে পড়ছে, সেটিও দেখতে পাচ্ছি। এক বছরেই ধৈর্যহীন হয়ে পড়লে বিগত সময়ের দুর্নীতি ও অনিয়ম কীভাবে দূর করবো?”
নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, “একটি নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে মিলেমিশে থাকতে হবে।”
নির্বাচনের পরিবেশ ও সুশাসনের গুরুত্ব:
নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, যা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা অত্যাবশ্যক। পরিবেশ নষ্ট হলে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা ক্ষুণ্ন হয়, যা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জনগণের আস্থা কমিয়ে দেয়।
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার বক্তব্যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও দুর্নীতি নির্মূলের চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, বিগত ১৫ বছরে দেশে দুর্নীতি ও অনিয়ম চলছিল, যার ফলে দেশের অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছিল। ৫ আগস্টের পর নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে যাচ্ছে, তবে অল্প সময়ের মধ্যে পুরোপুরি পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, “মানুষ ভালোবেসে ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে নিয়ে এসেছে। আবার মানুষ ধৈর্যহীন হয়ে পড়ছে, সেটিও দেখতে পাচ্ছি। এক বছরেই ধৈর্যহীন হয়ে পড়লে বিগত সময়ের দুর্নীতি ও অনিয়ম কীভাবে দূর করবো?” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি জনগণের ধৈর্য ও সহনশীলতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য ও সহযোগিতার আহ্বান:
নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে, জনগণের স্বার্থে কাজ করলে নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও উন্নত হবে। সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন মিলেমিশে থেকে একটি নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচন নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “একটি নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে মিলেমিশে থাকতে হবে।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ও সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
সুশীল সমাজের ভূমিকা:
সুশীল সমাজ একটি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা সরকারের নীতি ও কার্যক্রমের প্রতি নজর রাখে, জনগণের স্বার্থ রক্ষা করে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে। সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন, যা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
তিনি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন সরকারের কার্যক্রমের প্রতি নজর রাখেন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন। তিনি বলেন, “সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সরকারের কার্যক্রমের প্রতি নজর রাখলে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।”
নির্বাচন একটি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ, যা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা এবং সুশীল সমাজের সক্রিয় ভূমিকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদের বক্তব্য আমাদেরকে এই বিষয়গুলোর গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়।
আমরা যদি একটি উন্নত ও সুশাসিত বাংলাদেশ গড়তে চাই, তাহলে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো, সুশীল সমাজ, সরকার ও জনগণ মিলে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। তবেই আমরা একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারব।
MAH – 12527 , Signalbd.com



