সকাল ৯টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

দেশের আবহাওয়া অফিস শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টার মধ্যে দেশের ৭টি জেলায় ৬০ কিমি বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টির সতর্কবার্তা দিয়েছে। বিশেষ করে খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসব এলাকায় নদীবন্দরগুলোর জন্য ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। সতর্কবার্তায় আরও জানানো হয়েছে, ঝড়ের সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
অফিসিয়াল সূত্রের মতে, “সকালের মধ্যে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নদীবন্দরগুলোকে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।”
দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, একই সময় দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেটের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের কিছু স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সারাদেশে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণও হতে পারে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের ধারা বজায় থাকায় ভারী বৃষ্টির ঝুঁকি এখন সর্বাধিক।
ঝড়ের প্রভাব ও সতর্কতা
সতর্কবার্তার কারণে সংশ্লিষ্ট জেলার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নৌযান ও নদীপথে চলাচলে ভ্রমণকারীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করান, এই ধরনের দমকা হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টি অনেক ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট, যোগাযোগ ব্যাহত হওয়া এবং যাত্রীদের অসুবিধার কারণ হতে পারে। তাই আবহাওয়া অফিস এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
আগের ঝড়ের অভিজ্ঞতা
বাংলাদেশে আগস্ট মাসে বর্ষার দমকা হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টির ঘটনা নতুন নয়। গত বছরও দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এ ধরনের ঝড়ো হাওয়ার কারণে নৌপথে ভ্রমণ সীমিত হয়েছিল এবং কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটেছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামুদ্রিক ঝড় ও মৌসুমি বায়ু এই ধরনের পরিবর্তনের মূল কারণ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও এই ধরনের প্রাকৃতিক ঘটনার ঘনত্ব এবং তীব্রতা বাড়াচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ মতামত
ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, “এই সময়ে দমকা হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির সঙ্গে নদীপথে ভ্রমণ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। স্থানীয় প্রশাসন এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা আরও উল্লেখ করেছেন, “আগামী কয়েক দিনে সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি ও ভারি বর্ষণের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। তাই সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে।”
ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবারের পরও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টি এবং মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, যা স্থানীয় মানুষদের জন্য আবহাওয়ার পরিবর্তন লক্ষ্য করার বিষয়।
বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি কীভাবে মোড় নেবে তা নির্ভর করছে বায়ুর গতিবেগ, সমুদ্রের অবস্থা এবং মৌসুমী বায়ুর সংমিশ্রণের ওপর।
এম আর এম – ০৮৭৫, Signalbd.com