ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। এই সিদ্ধান্তটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতি এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এসেছে। আসুন, আমরা এই ঘটনার বিস্তারিত বিশ্লেষণ করি এবং এর প্রভাব সম্পর্কে জানি।
ঘোষণার পটভূমি
৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখে, উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “২০২৪ সালের ১৭ জুলাই হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেটিই বহাল থাকবে।” এই ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে এবং হল পলিটিক্সের সম্পূর্ণ অবসান দাবি করেন।
ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালীর ১৮টি হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা করার পর থেকেই ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। রাত ১২টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন এবং পরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
উপাচার্যের বক্তব্য
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “প্রত্যেক হল প্রশাসন এই নীতিমালার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।” তিনি ছাত্রদলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাসও দেন। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে এবং হল পলিটিক্সের সম্পূর্ণ অবসান দাবি করেন।
ছাত্ররাজনীতির প্রভাব
ছাত্ররাজনীতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে, অনেকেই মনে করেন যে, ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বাধা সৃষ্টি করে এবং ক্যাম্পাসে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। এই নিষেধাজ্ঞা শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে পারে, যেখানে তারা নিজেদের শিক্ষার প্রতি বেশি মনোযোগী হতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার এই সিদ্ধান্তটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে, তবে এর ফলে ছাত্ররাজনীতির যে ঐতিহ্য রয়েছে, তা কিভাবে প্রভাবিত হবে, তা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপট”
এই সংবাদটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক পরিবেশ এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুরু করেছে। আসুন, আমরা সবাই মিলে শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করি।
MAH – 12211 , Signalbd.com