বাংলাদেশ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস ২০২৫ স্মারক ডাকটিকিট উদ্বোধন

Advertisement

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে আজ (মঙ্গলবার) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর অবমুক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিববৃন্দ। অনুষ্ঠানে দেশের ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায় স্মরণে গুরুত্বপূর্ণ এই স্মারক সামগ্রী অবমুক্ত করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য

ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্তির সময় দেশের গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক গুরুত্বের উপর জোর দেন। তিনি বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের জনজীবনে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করেছে। এই স্মারক ডাকটিকিট দেশের ইতিহাস ও গণতান্ত্রিক অর্জনগুলোর একটি অম্লান সাক্ষ্য।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের যুবসমাজ ও আগামীর প্রজন্ম যেন এই গণ-অভ্যুত্থানের সঠিক মূল্যায়ন করতে পারে, এজন্য এই স্মারক ডাকটিকিট একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উঁচুমানের কর্মকর্তারা

ডাকটিকিট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—

  • শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার
  • মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম
  • শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান
  • পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
  • প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী
  • ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু নাসের খান

তারা সবাই এই স্মারক সামগ্রী অবমুক্তির মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে সম্মান জানাতে একযোগে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

স্মারক ডাকটিকিটের বিশদ বিবরণ

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ স্মরণে তৈরি এই বিশেষ ডাকটিকিটে বাংলাদেশের গণ-অভ্যুত্থানের বিভিন্ন ঐতিহাসিক মুহূর্ত চিত্রায়িত হয়েছে। এটি দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ডাকটিকিটটি ডিজাইন করা হয়েছে বিশেষভাবে, যাতে এতে দেশের তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ বাড়ে এবং তারা এই মহান সংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে।

উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহরটিও একই থিমে তৈরি করা হয়েছে, যা আগামীতে সংগ্রাহক এবং ইতিহাসপ্রেমীদের কাছে মূল্যবান স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে থাকবে।

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’ – এক সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। এটি ছিল একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন, যেখানে দেশের সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য একত্রিত হয়েছিল।

১৯৭৫ সালের জুলাইয়ে ঘটে যাওয়া ঐ আন্দোলন জাতিকে একটি নতুন দিশা দেখায়। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ ছিল মূল প্রেরণা।

এই গণ-অভ্যুত্থান দেশের মানুষের একাত্মতা, সাহসিকতা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। যার স্মৃতি অম্লান থেকে যাবে প্রতিটি প্রজন্মের মনে।

স্মারক ডাকটিকিট ও খামের মাধ্যমে শিক্ষা ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডাকটিকিট ও স্মারক খাম তৈরি ও অবমুক্তির মাধ্যমে দেশের ইতিহাসকে সংরক্ষণ করা ও তা তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া সহজ হয়। স্মারক সামগ্রী দেশের ঐতিহ্যের এক অনন্য মাধ্যম।

এটি শুধু সংগ্রাহক বা ডাকপ্রেমীদের জন্যই নয়, বরং সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের জন্যও শিক্ষামূলক। একটি ডাকটিকিট হাজারো কথা বলে ইতিহাস ও সংস্কৃতির ভাষায়।

সরকারের উদ্যোগ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

এই স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্তি শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি দেশের গণতন্ত্রের অঙ্গিকার ও ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের প্রতীক। অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ করার জন্য একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করছে।

শিক্ষা, প্রযুক্তি ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে একত্রিত প্রচেষ্টায় আগামী প্রজন্মের জন্য দেশকে আরো উন্নত করার লক্ষ্য রয়েছে।

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ স্মরণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্বোধিত স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর দেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হবে। এটি দেশের গণতান্ত্রিক চেতনা ও ঐতিহ্যের প্রতি এক অনন্য শ্রদ্ধা।

ডাকটিকিট ও স্মারক সামগ্রী দেশের তরুণদের মধ্যে দেশপ্রেম ও ইতিহাসচেতনা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একদিকে এটি স্মৃতি রোমন্থন করবে, অন্যদিকে নতুন প্রজন্মের কাছে দেশের মহান সংগ্রামের কথা ছড়িয়ে দেবে।

MAH – 12141 ,  Signalbd.com

মন্তব্য করুন
Advertisement

Related Articles

Back to top button