ই-রিটার্ন কি মোবাইল ফোনে তৈরি করা সম্ভব? জানুন বিস্তারিত
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) করদাতাদের জন্য ই-রিটার্ন সিস্টেম চালু করেছে, যা আয়কর দাখিলের ক্ষেত্রে একটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল পদ্ধতি। করদাতাদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা এড়াতে ও সহজে কর দাখিলের সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই সিস্টেম চালু করা হয়। তবে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে—এই ই-রিটার্ন কি মোবাইল ফোনে তৈরি করা সম্ভব?
ই-রিটার্ন সিস্টেমটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে করদাতারা ঘরে বসে তাদের কর দাখিল করতে পারেন। কিন্তু এর ব্যবহারের ক্ষেত্রে মোবাইল ডিভাইসে কিছু সীমাবদ্ধতা বিদ্যমান, যা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
ই-রিটার্ন সিস্টেমের ব্যবহার এবং মোবাইল ফোনের সীমাবদ্ধতা
ই-রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে করদাতাদের বেশ কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে:
- নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করা।
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করা।
- একাধিক উইন্ডোতে তথ্য যাচাই এবং চূড়ান্ত দাখিল।
মোবাইল ফোনের ছোট স্ক্রিন এবং সফটওয়্যার সাপোর্টের কারণে এই কাজগুলো যথাযথভাবে সম্পন্ন করা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে বড় আকারের ফর্ম পূরণ এবং বিভিন্ন ফাইল আপলোড করতে হলে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপের প্রয়োজন হয়।
ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের সুবিধা
ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের ব্যবহার ই-রিটার্ন দাখিলকে সহজ এবং নিরবচ্ছিন্ন করে তোলে। এর বড় স্ক্রিন, উন্নত সফটওয়্যার সাপোর্ট এবং দ্রুত প্রসেসিং ক্ষমতার কারণে পুরো প্রক্রিয়াটি ঝামেলামুক্তভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। করদাতারা সহজেই প্রয়োজনীয় ফর্ম পূরণ, ডকুমেন্ট আপলোড এবং চূড়ান্ত দাখিল করতে পারেন।
মোবাইল ফোনে সীমিত কার্যক্রম
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ই-রিটার্ন সিস্টেমে প্রাথমিক তথ্য দেওয়া, ফাইলের অগ্রগতি ট্র্যাক করা বা কিছু সহজ ফিচার ব্যবহার করা সম্ভব। তবে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের প্রয়োজনীয়তা থেকেই যায়।
ভবিষ্যতে মোবাইল-সহায়ক সিস্টেমের পরিকল্পনা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভবিষ্যতে একটি মোবাইল-সহায়ক সিস্টেম উন্নয়নের পরিকল্পনা করছে। এতে মোবাইল ডিভাইসেও পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এটি করদাতাদের আরও সহজ এবং দক্ষভাবে কর দাখিলের সুযোগ করে দেবে।
কর জমার সময়সীমা বৃদ্ধি
আয়কর দাখিলের সময়সীমা নিয়ে অনেক করদাতা উদ্বিগ্ন। তবে এনবিআর থেকে জানানো হয়েছে যে, আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ৩৩৪-এর উপধারা (খ) অনুসারে ২০২৪-২৫ করবর্ষের জন্য কর জমার চূড়ান্ত সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে বাড়িয়ে ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপসংহার
ই-রিটার্ন দাখিলের পুরো প্রক্রিয়াটি মোবাইলের তুলনায় ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে অনেক বেশি কার্যকর এবং ঝামেলামুক্ত। তাই করদাতাদের এই আধুনিক ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য উন্নত ডিভাইস ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।