ঈদের পর ঢিলেঢালা বাজার, পণ্যের দামও কমেছে
কোরবানির ঈদের চার দিন পার হলেও রাজধানীর বাজারে নিত্যপণ্যের কেনাবেচা এখনও সেভাবে জমে উঠেনি। ক্রেতার উপস্থিতি কম এবং অনেক দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। ঈদের আগ মুহূর্তে যে মুরগি, শসা, কাঁচা মরিচসহ কিছু পণ্যের দাম বেড়ে গিয়েছিল, তা এখন অনেকটাই কমেছে।
দীর্ঘ ঈদুল আজহার ছুটির প্রভাব
গত ৫ জুন ঈদুল আজহার ফলে দেশের অধিকাংশ সরকারি ও বেসরকারি অফিস ১০ দিনের জন্য বন্ধ ছিল। দীর্ঘ ছুটির কারণে যাঁরা ঢাকার বাইরে গিয়েছিলেন, তাঁরা এখনো শহরে ফিরে আসেননি। এছাড়া বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ শৃঙ্খলও পুরোপুরি সচল হয়নি, যার ফলে বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কম দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে জানা গেল দাম ও পরিস্থিতি
রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ও কারওয়ান বাজার পরিদর্শনে জানা গেছে:
- শসার দাম: ঈদের আগে প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকা ছিল, এখন কমে ৫০-৬০ টাকা।
- কাঁচা মরিচ: ঈদের আগে ১২০-১৬০ টাকা, এখন ৫০-৬০ টাকা।
- টমেটো: দাম স্থিতিশীল, প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকা।
- অন্যান্য সবজি যেমন লাউ, পেঁপে, পটোল, ঝিঙে ইত্যাদি ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
- আলু ২০-২২ টাকা, পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংস ও মাছের বাজার
ঈদের পর গরু, খাসি ও মুরগির মাংসের চাহিদা কমেছে, তাই ক্রেতাও কম।
- ব্রয়লার মুরগি: প্রতি কেজি ১৭০-১৮০ টাকা (ঈদের আগে ছিল ২০-৩০ টাকা বেশি)
- সোনালি মুরগি: প্রতি কেজি ২৫০-৩০০ টাকা
- ফার্মের মুরগির ডিম: ডজন ১৩০ টাকা অপরিবর্তিত
- গরুর মাংসের দাম আগের মতোই, তবে ক্রেতা কম।
মাছের বাজারেও চাহিদা কম।
- চাষের রুই মাছ ৩২০-৩৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৪০ টাকা, পাঙাশ ২০০-২৩০ টাকা, চিংড়ি ৭০০-৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
- ইলিশ মাছের দাম আকারভেদে ১০০-৩০০ টাকা কমেছে।
অন্যান্য মুদিপণ্য
- চালের দাম স্থিতিশীল, প্রতি কেজি ৭২-৭৫ টাকা
- সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১৮৯ টাকা
ক্রেতাদের মন্তব্য
মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে এক বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা সাব্বির আলম বলেন,
“ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরে শুধু সবজি কেনার জন্য বাজারে এসেছি, কারণ বাসায় মাছ ও মাংস আছে।”
ঈদের ছুটির কারণে ঢিলেঢালা বাজার, কম ক্রেতা, বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে। সরবরাহ শৃঙ্খল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বলে আশা করা হচ্ছে।
