যতদিন প্রয়োজন ততদিনই ইরানে হামলা অব্যাহত রাখবে ইসরায়েল

তেহরানে দফায় দফায় বিস্ফোরণ, ইসরায়েলের অভিযানের নাম ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’
ইরানের বিরুদ্ধে ‘প্রতিরোধমূলক সামরিক অভিযান’ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন—
“ইরানের হুমকি যতদিন থাকবে, ততদিন ইসরায়েলের অভিযান চলবে।”
অপারেশন রাইজিং লায়ন: হুমকির জবাবে হামলা
নেতানিয়াহু জানান, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই সামরিক অভিযানে অংশ নিয়েছে ইসরায়েলের বিশেষ যুদ্ধবিমান। তিনি বলেন,
“দশকের পর দশক ধরে ইরান আমাদের ধ্বংসের হুমকি দিয়ে আসছে। আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এখনই উপযুক্ত সময় প্রতিরোধের।”
লক্ষ্যবস্তু: পারমাণবিক স্থাপনা ও সামরিক ঘাঁটি
ভোররাতে চালানো হামলায় তেহরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের সদর দপ্তর, নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্র এবং বিভিন্ন আবাসিক এলাকা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।
তেহরানে ৯টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, জানায় স্থানীয় গণমাধ্যম।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্র এই হামলায় গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বেসামরিক প্রাণহানি ও আতঙ্ক
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় কয়েকজন বেসামরিক নিহত হয়েছেন। যদিও হতাহতের পূর্ণ বিবরণ এখনো প্রকাশ করেনি সরকার।
আবাসিক এলাকাগুলোতে হামলার কারণে স্থানীয় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া: সম্পৃক্ত নয়
ইসরায়েলি অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত নিজ অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন,
“ইসরায়েলের অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।”
সম্ভাব্য পরিণতি: নতুন যুদ্ধের আশঙ্কা?
আঞ্চলিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরান-ইসরায়েল টানাপড়েন সম্পূর্ণ যুদ্ধে রূপ নিতে পারে, বিশেষ করে যদি ইরান পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত নেয়।
ইতোমধ্যে ইরান, ইসরায়েল ও ইরাক তাদের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে, যা যুদ্ধের আশঙ্কাকে আরও তীব্র করেছে।